
গত ৩১শে আগস্ট ২০২০ খ্রি. খাগড়াছড়ি মহালছড়িতে সেটেলার বাঙালি যুবক কর্তৃক নাবালিকা এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের নতুন পাড়া নিবাসী আল আমিন (২৪) সেটেলার যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি মহালছড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার নিজের বাড়ি ২৫০ নং লেমুছড়ি মৌজায় পেংদেং পাড়ায়। পড়ালেখার কারণে মহালছড়ি থলিপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন।
মূল সূত্রমতে, গত তিন মাস যাবত মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে প্রেমের আশ্রয় নেয় এবং একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কিন্তু গত ৩১ আগস্ট তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় আল আমিন (২৪) মেয়েটিকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঘটনাটি মেয়ের আত্মীয়ের পরিবারে জানাজানি হয় এবং সেকারণে পরিবার থেকে মেয়েটি পালিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে আনুমানিক রাত ১০টায় বের হয়। শেষমেশ মেয়েটি নিকটষ্ঠ স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে রাত ১২:০০ টার দিকে আশ্রয় নেয়।
তারপর রাত ১:০০ টার দিকে শিক্ষকের বাড়ি থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে আসা হয়। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। তখনো পর্যন্ত মেয়ের পক্ষ বা থলিপাড়া যুব সমাজের পক্ষ থেকে কারোর কাছে কোন বিচার চাওয়া না হলেও, ১লা সেপ্টেম্বর বিকেল ৩.৩০ ঘটিকায় মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল এর নেতৃত্বে থলিপাড়া গ্রামস্থ থলিপাড়া যুব সংঘ ক্লাবে এক সালিশ বসানো হয়। সালিশে রতন কুমার শীল ধর্ষক আল আমিনকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ধর্ষকদের পক্ষ হয়ে নিজের পকেট থেকে মেয়ের পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা চিকিৎসা বাবদ প্রদান করে বিচার মিটমাট করেন। এতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।