Home Uncategorized বান্দরবান চিম্বুকে ম্রোদের ভূমি অবৈধ ভাবে বেদখল করে পাঁচতারকা হোটেল স্থাপনের বিরুদ্ধে পাহাড়বাসী কালচারাল শো ডাউন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

বান্দরবান চিম্বুকে ম্রোদের ভূমি অবৈধ ভাবে বেদখল করে পাঁচতারকা হোটেল স্থাপনের বিরুদ্ধে পাহাড়বাসী কালচারাল শো ডাউন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

0
বান্দরবান  চিম্বুকে ম্রোদের ভূমি অবৈধ ভাবে বেদখল করে পাঁচতারকা হোটেল স্থাপনের বিরুদ্ধে পাহাড়বাসী কালচারাল শো ডাউন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
ছবিঃ চিম্বুক পাহাড়বাসী

বান্দরবান চিম্বুক এলাকায় প্রায় ৮শ থেকে ১ হাজার একর জমি বেদখল করে সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট ও সিকদার গ্রুপ (আর ও আর হোল্ডিংস) এর যৌথ সমন্বয়ে ”ম্যারিয়ট হোটেল ও এমিউজম্যান্ট পার্ক” নামে একটি পাঁচতারা হোটেল ও পর্যটন স্পট নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে শত বছরের বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসা ম্রো আদিবাসীদের বাস্তুভিটা উচ্ছেদের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটার প্রতিবাদে চিম্বুক পাহাড়বাসীর উদ্যোগে আজকে একটি কালচারাল শো ডাউন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ কালচারাল শো ডাউনের অংশ হিসেবে প্লুং, নের তমম্, মং, প্রুই, তিতেং এর সুরে সুরে প্রায় ৬০০ ম্রো নারী-পুরুষ নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নীল পাহাড় থেকে কাপ্রু পাড়া বাজার পর্যন্ত রাজপথে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।উল্লেখ্য, এর আগেও ১৯৯০ সালে সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে সাড়ে ১১ হাজার একর ভূমি অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করেছে, যে ভূমিগুলোরও অধিকাংশ ম্রো আদিবাসীদের ছিল। এছাড়াও, সিকদার গ্রুপ বাংলাদেশে বিতর্কিত একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খারাপ খবরে এ গ্রুপটি বিতর্কিত হয়েছে। সর্বশেষ এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সিকদার গ্রুপের পরিচালককে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে।

এরকম একটি বিতর্কিত গ্রুপের সাথে সেনাবাহিনী যুক্ত হলে একটা সুসজ্জিত সশস্ত্রবাহিনীর সুনামও ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে একটা এলাকার জনসমর্থন নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করা যেতেই পারে। কিন্তু এ পাঁচতারা হোটেল ও পর্যটন স্পট তৈরীর প্রক্রিয়াটি ব্যক্তি বা ব্যবসায়ের স্বার্থে ভূমি বেদখল করে প্রায় ৭০ থেকে ১১৬ টি ম্রো আদিবাসী গ্রামের প্রায় ১০ হাজার জনের উদ্বাস্তু হওয়ার দিকে ঠেলে দেওয়ার এ অপচেষ্টা কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কখনই কাম্য নয়। নীতিগত ও আইনগত দিক দিয়েও একটা এলাকার জনগোষ্ঠীর সমর্থন না নিয়ে অবৈধভাবে নিজেদের হীন ব্যবসায়ের স্বার্থে এত বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে উদ্বাস্তু করার অপচেষ্টা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়।

তাই অবিলম্বে এ বেআইনিভাবে ভূমি বেদখল করে পাঁচতারা হোটেল ও পর্যটন নির্মানের প্রতিবাদে আজ রাস্তায় নেমেছে। পরবর্তীতে এ অবৈধ ও একটা জনগোষ্ঠীকে নিজেদের বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের হীন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ না হলে চিম্বুক এলাকাবাসীর আন্দোলনও আরও কঠোর হবে।

সূত্র, তথ্য ও ছবিঃ চিম্বুক পাহাড়বাসী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here