
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো আদিবাসীদের বাস্তুভিটায় পাঁচতারা হোটেল স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরুর প্রতিবাদে আজকে রামড়ি পাড়া থেকে ২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বান্দরবান শহর অভিমুখে লং মার্চ ও লং মার্চের পরে জনসমাবেশ সফল হয়েছে। এ লং মার্চে অংশগ্রহণকারী সবাইকে বিএমএসসি কেন্দ্রীয় কমিটি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।
এ পাঁচতারা হোটেল স্থাপন করা হলে ১ হাজার একর ভোগদখলীয়, চাষের জমি, শ্মশানঘাট, ফলজ বাগান, পাড়াবন, পানির উৎসগুলো বেদখল হওয়ার আশঙ্কা করছে এবং একই সাথে ১১৬টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার জনজাতি উচ্ছেদের মুখে পড়বে বলে আজকের লং মার্চ থেকে এক বিবৃতিতে চিম্বুক পাহাড়বাসী জানিয়েছে। আমরা বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছি, প্রশাসন এ লং মার্চকে বাধা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এ বিশাল লং মার্চের জনস্রোত সেই বাধাকে অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌঁছে সফল সমাবেশ করেছে। প্রশাসনের এমন স্বার্থান্বেষী মহলের পক্ষাবলম্বন নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আমরা প্রশাসনের এমন ভূমিকাকে নিন্দা জানাচ্ছি।
গত বছর ৮ই নভেম্বরে একটা কালচার শোডাউনের মাধ্যমে ম্রো আদিবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। সর্বশেষ ১১ই ডিসেম্বর চিম্বুক পাহাড়ে কাপ্রু পাড়াবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছে। বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকার সংগঠন এ অবৈধ স্থাপনা ও জনজাতির উচ্ছেদের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত সরকারের উচ্চ মহল থেকে কোন ধরণের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসন জনজাতি ও পরিবেশের পক্ষে না থাকে বরং ব্যবসায়ী ও পরিবেশ ধ্বংসকারীদের পক্ষে থেকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে বলে এ বিবৃতিতে ম্রো’রা দাবি করছে।
এ লং মার্চ শেষে জনসমাবেশ থেকে চিম্বুক পাহাড়বাসী পাঁচতারা হোটেল স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। ম্রোদের এ শান্তিপূর্ণ লং মার্চ ও লং মার্চের শেষে জনসমাবেশে উচ্চারিত ৫ দফা দাবিনামা ও তাঁদের ন্যায্য আন্দোলনের সাথে বিএমএসসি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে। একই সাথে ম্রোদের যেকোন ন্যায্য আন্দোলনকে বিএমএসসি সর্বদা সমর্থন করে যাবে।
পাঁচতারা হোটেল স্থাপনের পায়তারা বন্ধ হোক